জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা টানা আট ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর মুক্ত হলেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে জবি শিক্ষার্থীরা ‘নো ওয়ার্ক কর্মসূচি’ ঘোষণার মাধ্যমে প্রশাসনিক ভবনের গেটে তালা লাগিয়ে উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার এবং অন্য কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। অবরোধ রাত ১২টার পর ভবনের তালা খুলে দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলনস্থল ত্যাগ করেননি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দুই দফা দাবি হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও রোডম্যাপ প্রকাশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি প্রদান।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা কোনোভাবেই শিক্ষকদের অসম্মান করতে চান না, তাই গেট খুলে দিয়েছেন। তবে জকসু নিয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
অবরুদ্ধ অবস্থায় উপাচার্য বলেন, “আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা যতক্ষণ অবস্থান করবে, আমরাও এখানেই থাকব।” একইসুরে কোষাধ্যক্ষও জানান, “৫ বা ১০ দিনও যদি অবস্থান করতে হয়, তবুও থাকব।”
দিনের শুরুতে দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত উপাচার্যের কক্ষের সামনে ‘ব্রেক দ্য সাইলেন্স’ কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, প্রশাসন দাবি পূরণ না করা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। জকসু নির্বাচনের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে তারা কর্মসূচি আরও জোরদার করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন।