সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অভিনেতা শাকিব খান ও শবনম বুবলীর ঘনিষ্ঠ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে অনেকেই অপেক্ষায় ছিলেন অপু বিশ্বাসের প্রতিক্রিয়ার জন্য। তবে এবার দেখা গেল একেবারে ভিন্ন এক অপুকে—নিরব, পরিপাটি, সংযত এবং পরিণত।
স্টার ডায়েরিকে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস জানালেন, তিনি এখন আর অতীতের কোনো বিতর্কে ফিরে যেতে চান না। কাজকেই এখন সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি।
“লাস্ট দেড় মাস আমি ফেসবুকে একদমই নেই,”—বলেন অপু। “আমার অ্যাডমিনরা শাকিব-বুবলীর ছবি পাঠিয়েছিলো। দেখেছি ঠিকই, কিন্তু এইগুলো নিয়ে আহামরি কিছু বলার নেই। এখন সময় কাজের।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি এসএসসি পরীক্ষার সময় বা অন্য ব্যস্ত সময়ে যেমন বান্ধবীদের বাসায় ঘুরতে যেতে পারতাম না, তেমনি এখন মনে হয় ফেসবুকও তেমন কিছু। আমি ১৫ জুন থেকেই সব কিছু এন্ড করে দিয়েছি।”
আগে সামাজিক মাধ্যমে একে অপরের পোস্টের জবাবে পাল্টা পোস্ট দেওয়া নিয়ে যে অপু-বুবলী ‘দ্বৈরথ’ চলছিল, এবার তার ছন্দপতন ঘটেছে। অনেকেই মনে করছেন, অপু হয়তো হাল ছেড়ে দিয়েছেন। তবে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “হাল ছাড়িনি। কষ্টও নেই। আমি কাজ করছি, কাজ করে যেতে চাই। যেদিক থেকেই বলেন, বাচ্চাটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ও বড় একটা সেতুবন্ধন, যেটা কেউ চাইলেই অফ করতে পারবে না।”
অপু বিশ্বাস আরও বলেন, “আমি অসুস্থ প্রতিযোগিতায় আর যেতে চাই না। আমি এখন এমন কিছু করতে চাই না, যেটা আমার ব্যক্তিত্বের বাইরে পড়ে। আগেও কিছু ভুল হয়েছে, কিন্তু এখন সবকিছু গুছিয়ে নিচ্ছি। যে মানুষটাকে (শাকিব খান) ছোট করার কথা আমি কখনো চাইনি, তাকেও এখন বারবার ছোট করা হচ্ছে—এটাও কাম্য নয়।”
নিজেকে নতুন করে গুছিয়ে নেওয়া অপুকে ঘিরে আবারও আলোচনায় এসেছে তার চেহারা ও ফিটনেস। অনেকেই মনে করছেন তিনি সৌন্দর্যবর্ধনমূলক সার্জারি করিয়েছেন। এই প্রশ্নে হেসে অপু বলেন, “সার্জারি কথাটা ভুল। আমি যদি বিশ দিন বেশি খাই, তাহলে মোটা হয়ে যাই। আবার বিশ দিন ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া মেইনটেইন করলে আবার শুকিয়ে যাই।”
এই সাক্ষাৎকারে বোঝা গেল, অপু বিশ্বাস এখন নিজের জীবন, সন্তান ও ক্যারিয়ার—এই তিনটি দিকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন। অতীতের ঝড় ঝাপটা পেছনে ফেলে এবার তিনি সামনে এগিয়ে যেতে চান পরিপক্বতা আর সৌম্যতার পথ ধরে।