হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বার্ড হিট বা পাখির সঙ্গে বিমানের সংঘর্ষের ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। পাখি তাড়ানোর মতো পর্যাপ্ত জনবল ও আধুনিক প্রযুক্তির অভাবে দিন দিন বাড়ছে বিমান চলাচলের ঝুঁকি।
বর্তমানে বিমানবন্দরে বার্ড শুটারের জন্য অনুমোদিত পাঁচটি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র একজন। তার কাছেও নেই কোনো আগ্নেয়াস্ত্র। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, গত ২০ বছরেও তারা অস্ত্র কেনার আইনি অনুমতি পায়নি। ফলে পাখি তাড়ানোর কাজ কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
বেবিচকের চিঠি অনুযায়ী, বর্তমানে মৌখিক অনুরোধে বিমান বাহিনীর সহায়তায় সীমিত পরিসরে বার্ড শুটার কাজ করছেন। তবে এই সহায়তা শুধু সকাল ৮টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এবং ছুটির দিনে তা বন্ধ থাকে। অথচ পাখির উপদ্রব চলে দিনের প্রথমভাগ থেকেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উড্ডয়নের সময় বিমানে পাখি ঢুকে পড়লে ইঞ্জিন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এই ঝুঁকি মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলো লেজার, শব্দবোমা ও আধুনিক সেন্সর ব্যবহার করে। অথচ শাহজালালে এসবের কিছুই নেই।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস. এম. রাগীব সামাদ বলেন, “চরম বার্ড শুটার সংকটে আছি। অস্ত্র কেনার অনুমোদন না পাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।” তিনি আরও জানান, রানওয়ের আশপাশের বড় ডাস্টবিনগুলোতে খাবারের উচ্ছিষ্ট পড়ে থাকায় পাখির সংখ্যা বাড়ছে। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনকে অনুরোধ জানানো হলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এদিকে, বিমানবন্দরে বার্ড হিটের কারণে একাধিক ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ করতে হয়েছে। সৌভাগ্যবশত এখনো বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি, তবে সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা—যেকোনো সময় বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে।