November 24, 2025, 12:33 am

পাচারকৃত ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পেল সিআইসি

  • Update Time : Sunday, August 17, 2025
  • 28 Time View

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীনস্থ সেন্ট্রাল ইনটেলিজেন্স সেল (সিআইসি) অর্থপাচারের মাধ্যমে বিদেশে গড়ে তোলা প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছে।  প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানায়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাঁচটি দেশের সাতটি শহরে অনুসন্ধান চালিয়ে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সিআইসির মহাপরিচালক আহসান হাবিব রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে অনুসন্ধানের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন। এ সময় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।

সিআইসির তথ্যমতে, বিদেশে অর্থপাচার করে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে গড়ে তোলা ৩৪৬টি সম্পত্তির তথ্য তারা ইতিমধ্যে হাতে পেয়েছে। মহাপরিচালক আহসান হাবিব বলেন, “এটি অনুসন্ধানের কেবলই আংশিক চিত্র। এখনো অনেক তথ্য রয়েছে, যেগুলো পর্যায়ক্রমে উদ্ঘাটিত হবে।”

তিনি আরও জানান, সিআইসির গোয়েন্দারা দেশের বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষে বিদেশে সরেজমিনে তদন্ত করে এসব সম্পদের খোঁজ পেয়েছে।

এছাড়া অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ৯টি দেশে বাংলাদেশি নাগরিকেরা টাকা দিয়ে ৩৫২টি বিদেশি পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছেন। দেশগুলো হলো: অ্যান্টিগুয়া অ‍্যান্ড বারবুডা, অস্ট্রিয়া, ডমেনিকা, গ্রেনেডা, সেন্ট কিটস অ‍্যান্ড নেভিস, নর্থ মেসিডোনিয়া, মালটা, সেন্ট লুসিয়া ও তুরস্ক।

মহাপরিচালক দাবি করেন, অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত একটি চক্র পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেটাবেজ নিয়ন্ত্রণ করে বহু তথ্য মুছে ফেলেছে। তবে ইতোমধ্যে এসব মুছে ফেলা তথ্য উদ্ধার করার সক্ষমতা অর্জন করেছে সিআইসি।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এই ঘটনাকে “ভয়াবহ দেশদ্রোহিতা” আখ্যা দিয়ে বলেন, “দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে সম্পত্তি গড়ার সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।”

তিনি বলেন, “এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ আর দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করতে সাহস না পায়।”

দুদক, সিআইসি, পুলিশের সিআইডিসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, “এখন সময় এসেছে জাতির সামনে সত্য উন্মোচনের। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য স্বচ্ছ ও সুরক্ষিত বাংলাদেশ গড়তে লুটেরাদের বিচারের মুখোমুখি করতেই হবে।”

সিআইসি জানিয়েছে, তাদের এই অনুসন্ধান কার্যক্রমে ৬টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশকে সহায়তা করছে। মহাপরিচালকের ভাষায়, “আমরা এখন কেবল বরফখণ্ডের চূড়ামাত্র দেখেছি (tip of the iceberg)।” অনুসন্ধান আরও বিস্তৃত হবে এবং সম্ভাব্য আরও দেশে তদন্ত চালানো হবে বলে জানান তিনি।

Spread the love
More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved
Theme Developed BY ThemesBazar.Com