২০২৫ সালের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) দেশের সম্ভাব্য ৪৫ হাজার ভোটকেন্দ্র ও ২ লাখ ৮০ হাজার ভোটকক্ষে (বুথ) দায়িত্ব পালনের জন্য ৯ লাখ ৩১ হাজারের বেশি ভোটকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে। এর আগে, ডিসেম্বরের প্রথম ভাগে তফসিল ঘোষণা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি।
ভোট আয়োজনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হতে পারে। এর মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, সংসদীয় আসন পুনর্নির্ধারণ ও প্রবাসীদের ভোটাধিকারের ব্যবস্থাপনা চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) এবং নির্বাচনী আচরণবিধির প্রস্তাবিত সংশোধন অনুমোদনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই প্রশিক্ষণ নির্দেশিকা ও ম্যানুয়াল ছাপানোর কাজ শুরু হবে, যা প্রশিক্ষণের মূল ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
২০২৫ সালের হালনাগাদ তালিকা অনুযায়ী, সম্ভাব্য ভোটারের সংখ্যা দাঁড়াবে ১২ কোটি ৭৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫২ জনে। ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৮ হাজার ৯৮৯ জন।
তৎকালীন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ছিল ৪২ হাজার ১৪৮টি এবং বুথ ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৪টি। নতুন নির্বাচনে কেন্দ্র ও বুথের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভোটকর্মী প্রশিক্ষণ তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ। ইতোমধ্যে ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ভোটকর্মী প্যানেল গঠন এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের রূপরেখা নির্ধারণ করা হয়েছে। কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, এ নির্বাচনে প্রায় ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯০ জন ভোটকর্মী প্রয়োজন হবে।
ঢাকার নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) সেপ্টেম্বরে প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ (ToT) কার্যক্রম শুরু করবে। প্রথম ধাপে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ জন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ পাবেন। এদের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগ ও ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
ইসি সচিব আখতার আহমদ জানিয়েছেন, কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য ToT কর্মসূচির ক্ষুদ্র পরিসরের সেশন ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা হবে।
গত ৭ আগস্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন জানান, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণার ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে ভোট আয়োজনের পরিকল্পনা করছে ইসি। সে লক্ষ্যে ডিসেম্বরেই তফসিল ঘোষণা করা হবে।