দেশে নিষিদ্ধ হলেও বিদেশে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড সরকার ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শফিকুল আলম বলেন, “বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বর্তমানে নিষিদ্ধ। তবে তারা বিদেশে কোনো ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছে কি না, তা আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।” তিনি আরও যোগ করেন, “তারা দেশজুড়ে কোনো অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে কি না, সেটিও আমাদের নজরে আছে এবং তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাহ আসিফ রহমান।
সম্প্রতি বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কলকাতার একটি বাণিজ্যিক ভবনে আওয়ামী লীগের একটি ‘পার্টি অফিস’ চালু হয়েছে। এর আগে গত মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে আওয়ামী লীগ ও তাদের সংশ্লিষ্ট সব সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। নিষেধাজ্ঞাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়।
গেজেটে উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর যেকোনো ধরনের প্রকাশনা, গণমাধ্যমে প্রচার, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা, মিছিল, সভা-সমাবেশ এবং সম্মেলন আয়োজন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
এর আগেই উপদেষ্টা পরিষদের একটি বিশেষ সভায় সাইবার জগতে এবং মাঠপর্যায়ে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রমকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, “দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাক্ষী ও বাদীদের সুরক্ষার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”