আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশের জন্য ৪০ হাজার বডিওয়্যার ক্যামেরা (বডিক্যাম) সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শনিবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। রোববার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকস চৌধুরী ও ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, বডিক্যাম সংগ্রহের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এগুলো দেশের হাজার হাজার ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য, অক্টোবরের মধ্যেই এই ক্যামেরাগুলো সংগ্রহ করে পুলিশ সদস্যদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া, যেন তারা ডিভাইসের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্য ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারেন।”
সরকার ইতোমধ্যে জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডের তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরবরাহ চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করছে। নির্বাচনকালীন সময়ে এসব ডিভাইস পুলিশ অফিসার ও কনস্টেবলদের শরীরে পরিধানযোগ্য হবে।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বডিক্যাম দ্রুত সংগ্রহ এবং পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, “আমাদের লক্ষ্য, আগামী নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করে তোলা—খরচ যতই হোক না কেন।”
বৈঠকে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, আসন্ন নির্বাচনের তথ্যভিত্তিক একটি অ্যাপ চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে।
এই অ্যাপের মাধ্যমে ভোটাররা জানতে পারবেন: প্রার্থীদের বিস্তারিত তথ্য, নিজ নিজ ভোটকেন্দ্রের হালনাগাদ তথ্য, অভিযোগ দাখিলের সুযোগ।
প্রধান উপদেষ্টা এই অ্যাপ দ্রুত চালু করার এবং এটি যেন ১০ কোটির বেশি ভোটারের জন্য সহজবোধ্য ও ব্যবহারবান্ধব হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।