গাজীপুরের টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া বাসের হেলপার মো. অলির (৩৭) খণ্ডিত মরদেহের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন—সাদেক ও বাপ্পী।
শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার সাদেক এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি। তার বাসা টঙ্গীর বনমালা রোডে। ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে টয়লেটের ফলস সিলিং থেকে নিহত অলির কাটা মাথা উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে টঙ্গীর নান্না বিরিয়ানি হাউজের সামনে ফেলে যাওয়া একটি পরিত্যক্ত ট্রাভেল ব্যাগ থেকে এক যুবকের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ব্যাগে শরীরের অন্যান্য অংশ থাকলেও মাথা ছিল না, যা পরে সাদেকের বাসায় পাওয়া যায়।
নিহতের পরিচয় মেলে তার বড় ভাবী মাহমুদা আক্তারের মাধ্যমে। তিনি জানান, নিহত মো. অলি নরসিংদীর করিমপুর গ্রামের সুরুজ মিয়া ও শামসুন্নাহার বেগমের ছেলে। পেশায় তিনি বাসের হেলপার ছিলেন এবং স্ত্রী শাহানা বেগম ও তিন সন্তানসহ গত ১০ বছর ধরে গাজীপুরে বসবাস করতেন।
জিএমপি কর্মকর্তা জাহিদুল হাসান জানান, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে এবং তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। হত্যার মোটিভ ও অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।