ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (আগস্ট) রাত পৌনে নয়টার দিকে একদল শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপাচার্যের আলোচনার আশ্বাসে তাঁরা হলে ফিরে যান।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বিভিন্ন হলের সামনে গিয়ে মাইকিং করে কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। এরপর তাঁরা মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হন। একপর্যায়ে উপাচার্য উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তাঁরা ছয় দফা দাবি তাঁর কাছে তুলে ধরেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো: সব আবাসিক হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং র্যাগিং সংস্কৃতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন, দ্রুত হল সংসদ গঠন করে শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করা, রাজনৈতিক সংগঠনের উপহারসামগ্রী শুধুমাত্র হল প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ এবং তাতে সংগঠনের নাম বা প্রতীক ব্যবহার না করা, হলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহিরাগতদের হস্তক্ষেপ বন্ধ করা, মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্রদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।
বিক্ষোভকারীরা জানান, শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলে ছাত্রদলের কমিটি গঠনের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। এর জের ধরেই হলভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনে নামেন তাঁরা।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলের শিক্ষার্থী শরিফুল আলম বলেন, “আমরা আমাদের হলগুলোতে কোনো ধরনের ছাত্ররাজনীতি চাই না। ক্যাম্পাসে রাজনীতি থাকুক—কিন্তু হলে র্যাগিং, গেস্টরুম কালচার আর নির্যাতন চলতে দেওয়া যাবে না।”
উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান জানান, আগামীকাল রোববার একটি প্রশাসনিক সভায় শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে। তাঁর আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা রাতেই আন্দোলন স্থগিত করে হলে ফিরে যান।