বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, মতভেদ থাকা স্বাভাবিক হলেও জাতীয় ইস্যুতে গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে ভিন্নমত থাকবে, আলোচনা হবে। কিন্তু এমন যেন না হয়, জাতীয় স্বার্থে আমরা একে অন্যের মুখ দেখতেও অপারগ হয়ে পড়ি।”
আজ বুধবার ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনপির আয়োজিত বিজয় র্যালির আগে এক সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “আজকের এই বিজয় র্যালি শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির প্রতীক। এই র্যালি আমাদের অন্ধকার থেকে আলোর পথে যাত্রার সূচনার প্রতীক।”
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “এই ঐতিহাসিক ঘোষণার জন্য দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ দেড় দশক অপেক্ষা করেছে। এই আন্দোলনের পথ সহজ ছিল না—আমরা সহযোদ্ধাদের হারিয়েছি, নির্যাতিত হয়েছি, কিন্তু পেছনে ফিরে যাইনি।”
তারেক রহমান আরও বলেন, “জুলাই সনদ জনগণের অভিপ্রায় বাস্তবায়নের দিকনির্দেশনা দিয়েছে। এটি শুধু নির্বাচন আয়োজনের রূপরেখা নয়, বরং একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণের ঘোষণা।”
তিনি জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ ও চরমপন্থা যেন নতুন করে সমাজে অন্ধকার ছড়িয়ে না দেয়। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনই একমাত্র পথ, যেখানে জনগণের নিরাপত্তা, অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত হয়।”
তারেক বলেন, “আজ আমাদের সামনে বড় সুযোগ এসেছে—জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে যদি আমরা একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক কাঠামো তৈরি করতে পারি, তবে ভবিষ্যতে আর কোনো ফ্যাসিস্ট শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।”
সংস্কার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে যে সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে, তা বাস্তবায়নে বিএনপি জনগণের পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।”
তিনি জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, “আমরা যেন জাতীয় স্বার্থে বিভক্ত না হই, বরং গণতন্ত্র ও অধিকার রক্ষার প্রশ্নে সবাই যেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারি।”