জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের কক্সবাজার সফর নিয়ে নানান গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এদিকে, মুখ্য সংগঠক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কারণে কক্সবাজার সফরে গেছেন তিনি ও দলের আরও কয়েকজন নেতা। আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা কক্সবাজারে পৌঁছান।
নাসীরউদ্দীন জানান, তার সঙ্গে ছিলেন দলের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, তাসনিম জারা ও খালেদ সাইফুল্লাহ। কক্সবাজার বিমানবন্দর সূত্র বলেছে, তারা সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পৌঁছান।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, দুপুরের পর এনসিপি নেতারা একটি হোটেলে চেকইন করেন। “তারা কোনো ধরনের পুলিশ প্রটোকল চাননি এবং তাদের আচরণ দেখে মনে হয়েছে, তারা ছুটি কাটাতেই এসেছেন।”
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেই এনসিপি নেতারা কক্সবাজারে গেছেন। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “আমরা যে হোটেলে আছি, সেখানে পিটার হাস তো দূরের কথা, কোনো বিদেশিও নেই। শুনেছি উনিই এখন দেশে নেই।”
তিনি অভিযোগ করেন, “আমাদের নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিডিয়া প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর।”
উল্লেখ্য, সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জিতে কৌশলগত উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত তিনি ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন।
আজই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় নানা কর্মসূচি পালিত হয়। এনসিপি নেতাদের এই দিনে কক্সবাজার সফর নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তবে নাসীরউদ্দীন বলেন, “সব রাজনৈতিক দল থেকেই প্রতিনিধি দল গেছে বা যাবে। আমি অনুষ্ঠানটিতে যাইনি। আমরা ব্যক্তিগত কাজেই এসেছি, কোনো রাজনৈতিক বৈঠক বা মিটিংয়ে অংশ নিতে নয়।”
এদিকে, এনসিপি নেতাদের কক্সবাজারে অবস্থানকে “নির্বাচনবিরোধী ষড়যন্ত্র” বলে অভিযোগ তুলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বিকেলে সি পার্ল হোটেলের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। তাদের দাবি, এখানে নির্বাচনের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র চলছে।