নতুন করবর্ষের প্রথম দিনেই অনলাইনে রিটার্ন দাখিলে করদাতাদের অভাবনীয় সাড়া মিলেছে। সোমবার থেকে শুরু হওয়া ই-রিটার্ন দাখিল কার্যক্রমের প্রথম দিনেই ১০ হাজার ২০২ জন করদাতা তাদের রিটার্ন অনলাইনে জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানায়, গত বছর ২০২৪-২৫ করবর্ষে প্রথম দিনে মাত্র ২ হাজার ৩৪৪ জন করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছিলেন। এবার সেই সংখ্যা প্রায় পাঁচ গুণ বেড়ে গেছে, যা অনলাইনে কর ব্যবস্থার প্রতি করদাতাদের আস্থা ও আগ্রহের প্রতিফলন।
এনবিআরের বিশেষ আদেশ অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ করবর্ষ থেকে দেশের সব ব্যক্তি শ্রেণির করদাতার জন্য অনলাইনে (www.etaxnbr.gov.bd) আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে কিছু ব্যতিক্রম রাখা হয়েছে—৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রবীণ করদাতা, শারীরিকভাবে অক্ষম বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা, প্রবাসী বাংলাদেশি করদাতা এবং মৃত করদাতার পক্ষে আইনি প্রতিনিধি এই বাধ্যবাধকতার বাইরে থাকবেন।
এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
এনবিআর আরও জানিয়েছে, কোনো করদাতা অনলাইন রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধনজনিত সমস্যার কারণে রিটার্ন দাখিল করতে না পারলে, তিনি ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের কাছে যৌক্তিক ব্যাখ্যাসহ আবেদন করলে অনুমোদনসাপেক্ষে কাগুজে রিটার্ন দাখিলের সুযোগ পাবেন।
গত বছর সীমিত পরিসরে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য ই-রিটার্ন বাধ্যতামূলক করার পর ১৭ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছিলেন।
বর্তমানে করদাতারা ঘরে বসেই ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট, নগদসহ বিভিন্ন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করে কর পরিশোধ করতে পারেন। ই-রিটার্ন দাখিলের পরপরই তারা রসিদ ও আয়কর সনদও নিজেই প্রিন্ট করে নিতে পারেন। এতে কর দাখিল প্রক্রিয়া আরও সহজ, স্বচ্ছ ও সময়সাশ্রয়ী হয়েছে বলে জানিয়েছে এনবিআর।