গোপালগঞ্জ শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতায়।
বুধবার দুপুরে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে একটি পথসভা আয়োজন করে এনসিপি। তবে সভা শুরুর আগেই কয়েকশ’ মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। হামলাকারীরা মঞ্চের চেয়ার ভাঙচুর করে এবং ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে।
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হামলাকারীরা সবাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের সমর্থক। সহিংসতার মধ্যেও এনসিপির নেতারা পথসভা চালিয়ে যান। সেখানে বক্তব্য রাখেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, ও হাসনাত আবদুল্লাহ প্রমুখ।
সভা শেষে যখন নেতারা গাড়িবহরে চড়ে স্থান ত্যাগ করছিলেন, তখন ফের হামলার মুখে পড়েন তারা। বহরে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। তবে হামলাকারীরা তাদের দিকেও ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারে।
বিকেল ৪টার দিকে এনসিপি নেতারা গোপালগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। বিকেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাশাপাশি যোগ দেয় ৪ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
ঘটনার পর এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা তাজনূভা জাবীন তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, “গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ও পথসভায় আওয়ামী লীগের সশস্ত্র হামলা হয়েছে। পুলিশ ও সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতেও ককটেল বিস্ফোরণ, দা, রামদা, ইট-পাটকেল নিয়ে চারদিক থেকে আমাদের ঘিরে আক্রমণ চালানো হয়েছে।”
এই ঘটনায় শহরে আতঙ্ক বিরাজ করছে, এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা নতুন করে বাড়ছে।