কাগজে-কলমে ফেভারিট ছিল পিএসজি। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ফরাসি ক্লাবটি ছিল শিরোপার অন্যতম দাবিদার। কিন্তু মাঠে চিত্রটা হলো একেবারে ভিন্ন। যুক্তরাষ্ট্রের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রোববার দিবাগত রাতে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পিএসজিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে ইতিহাস গড়েছে চেলসি। ম্যাচের নায়ক ইংলিশ উইঙ্গার কোল পালমার, জ্বলে উঠলেন জোড়া গোল করে এবং একটি অ্যাসিস্ট দিয়ে।
প্রথমার্ধেই সব গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় চেলসি। মালো গুস্তোর পাস থেকে ২২তম মিনিটে প্রথম গোল করেন পালমার। আট মিনিট পর লেভি কলউইলের পাস ধরে নিজে জায়গা তৈরি করে দ্বিতীয়বার জাল খুঁজে নেন তিনি। ৪৩তম মিনিটে পালমারের দুর্দান্ত অ্যাসিস্ট থেকে জোয়াও পেদ্রো চেলসির তৃতীয় গোলটি করেন।
এই টুর্নামেন্টে এবারই প্রথম ৩২টি দল নিয়ে নতুন ফরম্যাটে আয়োজন করা হয় ক্লাব বিশ্বকাপ। এতে চেলসিকে শুরুতে কেউই বড় দাবিদার ভাবেননি। কিন্তু দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতে সবাইকে চমকে দিল ইংলিশ ক্লাবটি—এর আগে ২০২১ সালে প্রথমবার ট্রফি জিতেছিল তারা।
অন্যদিকে পিএসজি দারুণ ফর্মে ছিল। টুর্নামেন্টে তাদের জালে একটিও বল প্রবেশ করতে পারেনি। কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখ ও সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেয়েছিল তারা। কিন্তু ফাইনালে এসে মুখ থুবড়ে পড়ল ফরাসি জায়ান্টরা।
চেলসি মাত্র ৩৪ শতাংশ বল পজিশন রেখেও আক্রমণে ছিল আগ্রাসী। ১০টি শটের পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে, দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেও গোলের দেখা পায়নি পিএসজি। তাদের ছয়টি অন টার্গেট শট ঠেকিয়ে দেন চেলসির স্প্যানিশ গোলরক্ষক রবার্ত সানচেজ, যার কয়েকটি ছিল বিশ্বমানের সেভ।
৮৫তম মিনিটে পিএসজি আরও বিপাকে পড়ে, যখন জোয়াও নেভেস চেলসির কুকুরেয়ার চুল ধরে টান দেন। ভিএআরের সহায়তায় সরাসরি লাল কার্ড দেখান রেফারি। খেলা শেষে উত্তেজনা গড়ায় হাতাহাতিতে। একপর্যায়ে পিএসজির কোচ লুইস এনরিকে পেদ্রোর মুখে ঘুষি মারেন—ঘটনাটি হতবাক করে দেয় ফুটবল ভক্তদের।
এই মৌসুমে চেলসির জন্য এটি ছিল দ্বিতীয় শিরোপা। এর আগে তারা জিতেছিল উয়েফা কনফারেন্স লিগ। এফএ কাপ ও ইএফএল কাপের চতুর্থ রাউন্ডে বিদায় নিলেও প্রিমিয়ার লিগে তারা শেষ করেছে চতুর্থ স্থানে।